প্রত্যাবাসন নিয়ে আরো চারটি নতুন দাবি করেছে রোহিঙ্গারা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার ছাড়া মিয়ানমারে ফিরতে ইচ্ছুক নন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। যার কারণে গত ১৫ নভেম্বরের নির্ধারিত প্রত্যাবাসন স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার প্রত্যাবাসন নিয়ে আরো চারটি নতুন দাবি করেছে রোহিঙ্গারা। এসব দাবি দাওয়া নিয়ে তারা টেকনাফ, হোয়াইক্যাং, চাকমারকুল ও উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্দোলন শুরু করেছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গারা‘ইউএনএইচসিআর’র কর্তৃক স্মার্ট কার্ড তৈরিতে সহায়তা করছেন না। এমনকি দোকান বন্ধ রেখে তারা সব কাজ থেকেও বিরত রয়েছেন। তাদের এ আন্দোলন আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত চলবে।

রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে যে চার দফা দাবিজানানো হয়েছে তা হলো:

১. রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্মার্ট কার্ড নিতে বাধ্য করা যাবে না।

২. স্মার্ট কার্ড নিতে না চাইলে রোহিঙ্গাদের আটক রাখা যাবে না।

৩. স্মার্ট কার্ডে জাতিগত নাম ‘রোহিঙ্গা’উল্লেখ করতে হবে। স্মার্ট কার্ডে ‘জোর পূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক উল্লেখ করা যাবে না’।

৪. বায়োডাটা (পারিবারিক তথ্য) সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ইতোমধ্যে যে সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো মিয়ানমার সরকারকে প্রদান করা যাবে না।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আমরা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়েছি শুধুমাত্র ‘রোহিঙ্গা’ হওয়ার কারণে। তবে রোহিঙ্গা শব্দটির জাতিগত স্বীকৃতি নেই। তাই আমাদের কাছে এটি খুব গুরুত্ব বহন করে। রোহিঙ্গা শব্দটি মিয়ানমার মুছে দিলেও এটি কার্ডে থাকা জরুরি বলে মনে করছেন তারা।’

‘ইউএনএইচসিআর’ রোহিঙ্গাদের যে সব তথ্য সংগ্রহ করছে (আঙ্গুলের ছাপ, চোখের ছাপ, জমির কাগজপত্র), সে সব মিয়ানমার সরকারকে প্রদান করা হবে। প্রত্যাবাসনে এসব তথ্য প্রয়োজন হবে। তবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ধারণা এসব তথ্যের আলোকে প্রত্যাবাসনের পর রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানো হবে। তাই তারা এসব তথ্য যাতে মিয়ানমার সরকারকে না দেয়ারও দাবি জানিয়েছে।

তারা আরও জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই প্রত্যাবাসনসহ অন্যান্য নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া ‘তাদের কোনও নেতা নেই’ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের কাছ থেকে এ ধরনের কথা শুনতে শুনতেও তারা ক্লান্ত। এসব বিষয়ে আলোচনা করার দাবি জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর